ওয়াকফের শাব্দিক বাংলা অর্থ হলো নিরোধ ৷ অন্য ভাবে ওয়াকফ কথাটির অর্থ হলো সম্পত্তি থেকে আয়কৃত অর্থকে পবিত্র ভাবে উত্সর্গ করা ৷ ১৯৬২ সালের ওয়াকফ অধ্যাদেশ এর ২ ধারায় বলা হয়েছে যে, কোনো মুসলমান কর্তৃক ধর্মীয়, পবিত্র বা দাতব্য কাজের উদ্দেশ্যে তার স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি স্থায়ী ভাবে উত্সরর্গ করাকে বুঝায় ৷ তবে কোনো অমুসলিম ব্যক্তিও ওয়াকফের উদ্দেশ্যে তার সম্পত্তি উত্সর্গ করতে পারবেন ৷
ওয়াকফ সংক্রান্ত অধিকার (ওয়াকিফের)
ওয়াকফ সম্পত্তিটি নিজে তত্ত্বাবধান করার অধিকার ৷
ওয়াকফ সম্পত্তিটি তত্ত্বাবধান করার জন্য তার উত্তরাধিকারী নিযুক্ত করার অধিকার ৷
মুতাওয়াল্লী নিয়োগের অধিকার ৷ (১৯৬২ সালের ওয়াকফ অধ্যাদেশ এর ৪৩, ৪৪ ধারা)
মুতাওয়াল্লী কে অপসারণের অধিকার ৷ (১৯৬২ সালের ওয়াকফ অধ্যাদেশ এর ৩২ ধারা) নোটিস পাবার অধিকার ৷
ওয়াকফ সম্পত্তির রেকর্ড এবং তহবিল বিষয়ে অনুসন্ধানের অধিকার ।(১৯৬২ সালের ওয়াকফ অধ্যাদেশ এর ৩৭ ধারা)
ওয়াকফ সম্পত্তিতে অনধিকার প্রবেশে বাধা দেবার অধিকার ৷{১৯৬২ সালের ওয়াকফ অধ্যাদেশ এর ৬৪(১) ধারা}
অবৈধ দখলকারীকে উচ্ছেদের অধিকার ৷ (১৯৬২ সালের ওয়াকফ অধ্যাদেশ এর ২ ধারায়)
মুতাওয়াল্লী
ওয়াকফকৃত সম্পত্তি উত্সর্গ করার পর উক্ত সম্পত্তি আল্লাহর উপর ন্যাস্ত হয় এবং তিনিই ঐ সম্পত্তির মালিক হন ৷ ওয়াকফকৃত সম্পত্তি আল্লাহর পক্ষে দেখা শুনা করা রক্ষণাবেক্ষণ বা পরিচালনা করার জন্য অবশ্যই একজন ব্যক্তি থাকতে হবে ৷ সুতরাং ওয়াকফকৃত সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ, ব্যবস্থাপনা এবং পরিচালনা করার কাজ যে ব্যক্তি করেন তাকেই মুতাওয়াল্লী বলে৷ উল্লেখ্য যে দন্ডবিধির ২১ ধারায় বলা হয়েছে মুতাওয়াল্লী কোনো সরকারী কর্মচারী নন ৷ ১৮৯৮ সালের ফৌজদারী কার্যবিধি আইন (১৮৯৮ সালের ৫ নং আইন) অথবা ১৯০৮ সালের দেওয়ানী কার্যবিধি (১৯০৮ সালের ৫ নং আইন ) অনুসারে কোনো ওয়াকফকৃত সম্পত্তি পরিচালনা করার জন্য কোনো তত্তাবধায়ক নিযুক্ত হলে অথবা বর্তমানে প্রচলিত কোনো আইনের বিধান মতে ওয়াকফকৃত সম্পত্তি পরিচালনা করলে তাকে ১৯৬২ সালের ওয়াকফ অধ্যাদেশ এর ২ধারার ৬ উপধারা মতেমুতাওয়াল্লী হিসাবে গন্য করা যাবে ৷
মুতাওয়াল্লীর অধিকার
ওয়াকফ সম্পত্তি দেখাশুনা করার অধিকার ৷ (১৯৬২ সালের ওয়াকফ অধ্যাদেশ এর ৫৯ ধারা)
মুতাওয়াল্লী কর্তৃক মৃত্যু শয্যায় মুতাওয়াল্লী নিয়োগের অধিকার ৷ (১৯৬২ সালের ওয়াকফ অধ্যাদেশ এর ৬৬ ধারা)
ওয়াকফের কল্যাণে ওয়াকফ সম্পত্তি হস্তান্তরের অধিকার ৷ (১৯৬২ সালের ওয়াকফ অধ্যাদেশ এর ৫৬ ধারা)
নোটিস পাবার অধিকার ৷
ওয়াকফ সম্পত্তির রেকর্ড এবং তহবিল বিষয়ে অনুসন্ধানের অধিকার ৷ (১৯৬২ সালের ওয়াকফ অধ্যাদেশ এর ৩৭ ধারা)
ওয়াকফ সম্পত্তিতে অনধিকার প্রবেশে বাধা দেবার অধিকার ৷ (১৯৬২ সালের ওয়াকফ অধ্যাদেশ এর ৬৪(১) ধারা)
অবৈধ দখলকারীকে উচ্ছেদের অধিকার ৷ (১৯৬২ সালের ওয়াকফ অধ্যাদেশ এর ৬৪(১) ধারা)
অপসারণের ফলে মুতাওয়াল্লী অসন্তুষ্ট হলে আপিলের অধিকার ৷ (১৯৬২ সালের ওয়াকফ অধ্যাদেশ এর ৩২(৩) ধারা)
যৌথভাবে নিযুক্তিয় মুতাওয়াল্লী
যেক্ষেত্রে দুই বা ততোধিক মুতাওয়াল্লী নিযুক্ত থাকে সেক্ষেত্রে ওয়াকিফের অন্য কোনো নির্দেশ না থাকলে যৌথ মুতাওয়াল্লীর একজনের মৃত্যুর পর যারা জীবিত থাকবে তারা মুতাওয়াল্লী পদে বহাল থাকবে ৷